Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বিহঙ্গ দীপ
কিভাবে যাওয়া যায়

ঢাকা সায়দাবাদ, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বরগুনা অথবা পাথরঘাটাঘামী বাসে করে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বর। তারপর স্পিড বোটে করে বিহঙ্গ দ্বীপে যাওয়া যায়। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হতে বরিশাল,বরগুনার লঞ্চ। পাথরঘাটার কাকচিড়া ঘাট থেকে  পাথরঘাটা বাজার হয়ে সড়ক পথে রুহিতা বটতলা থেকে নৌকা যোগে বিহঙ্গ দ্বীপে।

যোগাযোগ

উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পাথরঘাটা, বরগুনার মোবাইল নম্বর-০১৭৭৫৩৩৬৬৬৭

বিস্তারিত

সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদ। নদের সাথে বঙ্গোপসাগরের সঙ্ঘমস্থলের জলরাশির মাঝে ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে গোলাকার প্রায় ১৫০ একর আয়তনবিশিষ্ট এই দ্বীপটি জেগে উঠেছে। দ্বীপের পূর্বে রয়েছে পাথরঘাটা আর পশ্চিমে রয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। দ্বীপের পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রবীণ বাসিন্দাদের তথ্যমতে জেগে উঠার পর এই দ্বীপটিকে প্রকৃতি ধীরে ধীরে  নিজেই সাজিয়ে নিয়ে নৈসর্গিক রূপ দিয়েছে। কয়েক বছর ধরে স্থানীয় সাংবাদিক মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, পর্যটন সাংবাদিক আরিফুর রহমান ও গোলাম মোস্তফা চৌধুরী নাম করণ করেন বিহঙ্গদ্বীপ। ২০১৮ সালে এসে তারা জাতীয় উত্তোলন করে বিহঙ্গদ্বীপের নামকরণ করে সাইনবোর্ড দেন। পরে বরগুনা  জেলা প্রশাসন ২০১৯ সালে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই দ্বীপের নামফলক দেয়া হয়। বলেশ্বর ও বিষখালীর বুকে জেগে ওঠা দ্বীপ-চরে নদীর উত্তাল ঢেউ পাড়ি দিয়েও অনেকে অজানার খোঁজ নিতে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখা মেলে মাঝি-মল্লা ও জেলেদের জীবনের হালচিত্র। পাখির কিচিরমিচির কলরব।  চরের সৌন্দর্যও নজর কাড়ার মতো। মনোমুগ্ধকর এ উপকূলে একটু ভোগান্তি সহ্য করে লক্ষ্যস্থলে পৌঁছতে পারলেই পাওয়া যায় শান্তির পরশ। নয়নাভিরাম এই সৌন্দর্যে মুগ্ধ যে কেউ! কোথাও ধু ধু চরাঞ্চল। কোথাও মন কেড়ে নেওয়া সবুজ-তেপান্তর। কোথাও ঝাউবন ও নারকেল-সুপারির বাগান। ইলিশ ধরার ট্রলার ও নৌকার পাল এবং নদীর দুইপাড়ে অসংখ্য পাখির কিচিরমিচির কলরব। তীরে রয়েছে সবুজাভ সারি সারি কেওড়া গাছ। দুই নদীর মাঝে বিচরণ করলেই দেখা মেলে বিহঙ্গদ্বীপ ও হরিণঘাটা এবং সুন্দরবনের দৃশ্য। ইলিশ শিকার করতে যাওয়া জেলেদের নদীর সঙ্গে লড়াইয়ের দৃশ্যও চোখে পড়ে। বিহঙ্গদ্বীপের অন্যতম সৌন্দর্য হলো পাখি ও কাঁশফুল।